বয়স সবে ৪, নাম আব্দুল্লাহ আল মাহাদি। নিজের কষ্টটাও বলতে শেখেনি ঠিকমতো। কিন্তু এক মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে তাকে। ছোট্ট শিশুটির কোমল দেহ থেকে ত্বক খসে খসে পড়ছে। বেরিয়ে পড়ছে ভেতরের মাংস। চিকিৎসা করাতে করাতে পরিবারটি নিঃস্বপ্রায়। তার বাবা আলাউদ্দিন কুমিল্লার লালমাই উপজেলার নারগুরী পাড়া গ্রামের দারুল উলুম মাদানিনগর মাদ্রাসায় কাজ করেন। মসজিদের ইমামও তিনি। এখন হন্যে হয়ে অর্থ জোগাড়ে ছুটছেন। কিন্তু কোথায় পাবেন এত টাকা?
সাহায্য খুঁজতে ফেসবুকের দ্বারস্থ হয়েছেন। শিশুটির জন্য পোস্ট দিচ্ছেন অনেকেই। মাহদির বাবা জানান, ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর প্রায় আড়াই লাখ টাকা সহযোগিতা পেয়েছি। সেই টাকা থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। হাতে আছে এক লাখ টাকা। এই হাসপাতালের ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়েছেন মাহাদিকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানে গেলে প্রায় ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। মাহাদির চিকিৎসা করাতে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ করেছেন বাবা। আর পারছেন না তিনি। মাহাদির চিকিৎসার জন্য যে টাকা প্রয়োজন তা খুব বেশি নয়। কিন্তু দরিদ্র বাবার পক্ষে জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব বিষয়।
জানা যায়. দুই বছর আগে ডায়রিয়া হয়েছিল মাহাদির। প্রথম দিনই এক শো বারেরও বেশি পাতলা পায়খানা হয়েছিল তার। এরপর থেকেই শরীর ফুলে যাওয়া ও ত্বক খসে মাংস বের হতে থাকে। একটু ভালো হলে নতুন করে চামড়া জন্মাতে শুরু করে। আবার যখন ডায়রিয়া শুরু হয়, তখন সেই আগের অবস্থা।
গত ১০ রমজান অর্থাৎ ৬ জুন থেকে ঢাকা শিশু হাসপাতালের ৩য় তলার ৩০২ নম্বরে কেবিনে চিকিৎসাধীন ছিল মাহাদি। পরে গত পরশু তাকে কলেরা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয় ওই হাসপাতাল থেকে।
যেখানেই তাকে নিয়ে ছুটছেন বাবা, মাহাদীর যন্ত্রণার আর চিৎকারে ভারী হয়ে উঠছে চারপাশ।
এই ছোট্ট শিশুটিকে বাঁচাতে অর্থ সহায়তা দরকার। সরকারি বা বেসরকারি যেকোনো উৎস থেকে সাহায্য পেলে বেঁচে যেতে পারে ছোট্ট মাহাদি।
অসহায় বাবা জানালেন, মাঝেমধ্যে পত্রিকায় দেখি অসহায় অনেকের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, আমার একমাত্র ছেলের চিকিৎসা যদি তিনি দেশের বড় কোনো হাসপাতালে করেন হয়তো সুস্থ হয়ে যাবে।
মাহাদিকে কেউ সাহায্য পাঠাতে চাইলে মাহাদির বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তার দুটো নম্বরে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা রয়েছে। নম্বর দুটো হলো-
০১৭৮৪৯৩৪১০৫ এবং ০১৬২৬০৫৫১২৩