মঙ্গলবার , ১৮ জুলাই ২০১৭ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

ইবি উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিবের সনদ জাল!

প্রতিবেদক
Alltime BD News24 .com
জুলাই ১৮, ২০১৭ ৩:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারীর ব্যক্তিগত সচিব রেজাউল করিম রেজার মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সনদ ভুয়া বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কোটায় ওই সনদ দেখিয়েই গত সাত বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করে এখন উপ-রেজিস্ট্রার পদে কর্মরত রয়েছেন।

গত শনিবার (১৫ জুলাই) একটি জাতীয় পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি কর্তৃপক্ষ।

এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে উপ-রেজিস্ট্রার রেজাউল করিম রেজা বিষয়টি অস্বীকার করে গতকাল (রোববার) সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, আমার বাবা আবদুস ছোবাহান একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাবা যখন শহীদ হন তখন আমার বয়স মাত্র ১০ মাস।

রেজা বিষয়টি অস্বীকার করলেও তার দেয়া তথ্যানুযায়ী সরকারি ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তালিকায় তার বাবার নাম পাওয়া যায়নি। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার মুকুন্দগাতী গ্রামে। এর আগেও ২০১০ সালে তিনি যখন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সনদে চাকরির আবেদন করেন তখন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যাচাই বাছাইয়ের জন্য তার দেয়া তথ্য পাঠালে তা ভুল বলে প্রমাণিত হয়।

তবে পরে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত একটি মুক্তিযোদ্ধা সনদ বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিয়ে চাকরি শুরু করেন। কিন্তু ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলা সদরের হেদায়েত কম্পিউটারের দোকান থেকে চলতি গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় তিনি মুক্তিযোদ্ধা সনদের জন্য আবেদন করলে বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এসএম আব্দুল লতিফ জাগো নিউজকে বলেন, প্রথমে রেজাসহ তিনজনের মুক্তিযোদ্ধার সনদ ভুল বলে আমাদের তখন জানানো হয়। পরে ওই কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে একটি সনদ জমা দেন। ওই সনদ যাচাইয়ের জন্য তখন আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে প্রায় পাঁচ মাস পরে সনদ সঠিক বলে একটি চিঠিতে জানানো হয়।

(Visited ১৫ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি