রির্পোট: বিপিপি অনলাইন ডেস্ক.
জেলা খাল উদ্ধার ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানের পর এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে গত ১২ নভেম্বর ২০১৬ থেকে বরিশাল মহানগরীর অপর ২২টি খাল অপদখলমুক্ত করণের জন্য একটি রুটিন তৈরি করে জেলা প্রশাসন, বিএমপি, বিসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য দপ্তরের নিবেদিতপ্রাণ সহকর্মীদের অংশগ্রহণে অভিযান শুরু করা হয়েছিল। খালের পাড়ে খালের নামফলক স্থাপনসহ খালসমূহ পরিমাপ করে সীমানা চিহ্নিত করে নিজ উদ্যোগে অপদখলীয় স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে যেতে অনুরোধ জানানো হলে সিংহভাগ স্থাপনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সরিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। যে সকল স্থাপনা নির্ধারিত তারিখের মধ্য সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টজন সমর্থ হন নি, নির্ধারিত তারিখ ও সময় অতিক্রমের পর, সেই সকল স্থাপনা বিসিসি’র বুলডেজার দিয়ে সরিয়ে নিতে উদার ভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে।
বিসিসি’র একজন নিবেদিতপ্রাণ সহকর্মী আরআই বাবু আজ এসে জানালেন নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী আজ ১১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে ২২টি খাল অপদখলমুক্তকরণ সম্পন্ন হয়েছে। জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ও দক্ষ সার্ভেয়ারবৃন্দের সেবা ছিল অপরিসীম। মেট্রোপলিটন পুলিশের দায়িত্বপালন ছিল অসাধারণ। বিসিসির সহায়তা ছিল অতুলনীয়। ফায়ার সার্ভিসের সেবা ছিল উজ্জ্বল। পরিবেশবান্ধব বরিশালবাসী এই অভিযানে নিরন্তর সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদান করে অনুপ্রাণিত করেছেন। সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
অচিরেই এই সকল খালের পরিবেশ উন্নয়ন, অপদখল প্রতিরোধ, বৃক্ষরোপণ, জনস্বার্থে ব্যবহার, প্রয়োজনে খনন প্রভৃতি কাজে জনসেবায় নিবেদিত বিভিন্ন স্বনামধন্য এনজিও ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং এই গ্রুপের সম্মানিত সিটিজেন জার্নালিস্টবৃন্দকে সুনির্দিষ্টভাবে দায়িত্ব প্রদান করা হবে।
সকলের সম্মিলিত দায়িত্বপালনের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্নভাবে জনস্বার্থে ব্যবহার্য সম্পত্তি বা পাবলিক ইজমেন্ট এই খালসমূহ জনগণের উন্মুক্ত ব্যবহারের পথ প্রশস্ত করা হবে।
খালসমূহ যেনো আর অপদখলে না যায় সেই জন্য সকলের সচেতনতা ও সহযোগিতা কাম্য। খালসমূহের প্রতি সকলের সজাগ দৃষ্টি কামনা করি।
‘বরিশালের সকল খাল রক্ষায় আপনি নিজে কী করতে চান এবং করবেন?’ তা এই পোস্টের মন্তব্যে জানিয়ে জনস্বার্থে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারেন।
সকলের অংশগ্রহণ কাম্য।
Post By: DC Gazi Saif