চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত খেলেছেন। তখনই এসেক্সের প্রস্তাব পান। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেন তামিম ইকবাল। দেশে ফিরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) নিয়ে আবারও ইংল্যান্ডে যান। অংশ নেন ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্ল্যাস্টে।
মাত্র এক ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে ওই টুর্নামেন্টে। কেন্টের বিপক্ষে এসেক্সের হয়ে অভিষেক। তবে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। থেমেছেন মাত্র সাত রানেই। তামিমের ব্যর্থতার দিনে কেন্টের কাছে ৭ উইকেটে হেরে যায় এসেক্স।
এরপর হঠাৎ এসেক্স জানিয়ে দেয়, ব্যক্তিগত কারণে দেশে ফিরে যাচ্ছেন তামিম। ক্লাবটির পক্ষ থেকে তার ব্যক্তিগত বিষয়কে শ্রদ্ধা দেখানোর অনুরোধ করা হয়। তামিম আজ (বুধবার) দেশে ফিরেছেন। বিকেল সাড়ে ৫টায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
তামিম পৌঁছালে বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মী তার সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেননি বাংলাদেশের ড্যাশিং এই ওপেনার।
এদিকে কাউন্টি খেলতে গিয়ে হঠাৎ কেন তামিম ইকবাল ক্লাব ছাড়লেন, এ নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় জোর গুঞ্জন। সবার কাছেই প্রশ্ন কেন হঠাৎ এভাবে লন্ডন থেকে ফিরে আসছেন তামিম? খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, ছোট চাচা আকরাম খান গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তামিম ইকবাল দ্রুত চলে এসেছেন দেশে।
কিন্তু কয়েকটি মিডিয়া তামিমের দেশে ফেরার কারণ হিসেবে বর্ণনা করেছে অন্য কিছু। বিসিবির একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে তারা প্রকাশ করেছে, ‘তামিম এবং তার পরিবারকে নাকি ধাওয়া দেয়া হয়েছে। তাদের ওপর এসিড নিক্ষেপের চেষ্টা করা হয়েছে এবং তারা এ কারণে দৌড়ে কোনোরকম নিজেদের রক্ষা করেছেন। নিরাপত্তার এমন শঙ্কার কারণেই নাকি তামিম দ্রুত দেশে ফিরে এসেছেন।’
তামিম ইকবাল নিজের ভ্যারিফায়েড ফেজবুক পেজে তামিম এ বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়ে দিয়েছেন। হামলার খবর সঠিক নয়। ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি আমার সকল ভক্ত-সমর্থককে একটা বিষয় নিশ্চিত করে জানাতে চাই যে, লন্ডনে এসেক্সের হয়ে আমার সফরটা শর্টকাট করে দ্রুত দেশে ফেরার কারণ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। অথচ কয়েকটি মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ করেছে যে, আমার ওপর নাকি লন্ডনে হামলার চেষ্টা হয়েছে। এ তথ্য কোনোভাবেই সত্য নয়। ইংল্যান্ড আমার প্রিয় স্থানগুলোর মধ্যে একটি। এসেক্সের হয়ে ক্রিকেট খেলতে যাওয়াটাও আমার জন্য অনেক আনন্দের। তবুও আমি দ্রুত ক্লাব ছেড়ে চলে এসেছি। আমার প্রতিটি ভক্ত এবং সমর্থককে এ নিয়ে চিন্তিত হয়ে ওঠা এবং মেসেজ দিয়ে শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই। আশা করি আবারও ইংল্যান্ডে গিয়ে নিশ্চিন্তে আমি ক্রিকেট খেলতে পারব।’