বরিশাল পুলিশ প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদলের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।ইতিমধ্যেই বরিশালের গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম এবং মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন কাউনিয়া থানায় ওসি সেলিম রেজা ও ওসি তদন্ত জাহিদ বিন আলমকে প্রতাহার করে মেট্রো ডিবিতে এবং তাদের স্থলাভিষিক্ত করে নুরুল ইসলাম কে ওসি ও কোতয়ালী থানা থেকে পদ্দোনতিপ্রাপ্ত সেকেন্ড অফিসার বর্তমানে ইন্সপেকটর আসাদ্দুজ্জামানকে ওসি তদন্ত হিসেবে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে।হঠাত করে এমন রদবদলে নড়েচরে বসেছে প্রশাসনের বড় কর্তারা।বদলী কিংবা রদবদলের তালিকায় যাতে তাদের নাম না উঠে এ নিয়ে চলছে নানামুখী দৌড়ঝাপ।জানা গেছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মাদক সংক্রান্ত একটি বিষয়ে রমজান মাসে সমালোচিত হয়ে মিডিয়ার শিরোনামে আসেন।ফলে তাকে প্রত্যাহার করা হতে পারে এমন খবর ঘুরপাক খাচ্ছিল মিডিয়ায়।শেষ পর্যন্ত হলোও তাই।
অন্যদিকে কাউনিয়া থানায় নিজেদের রাজত্ব কায়েম করে বসেছিলেন অফিসার ইনচার্জ ও ওসি তদন্ত।তাদের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই কোন না কোন অভিযোগ পাওয়া যেত।সর্বশেষ একটি ডাকাতির ঘটনায় তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়।অন্যদিকে এই রদবদলে কেউবা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছেন।বরিশাল পুলিশের সবকটি থানার মধ্যে লোভনীয় পদটি হচ্ছে কোতয়ালী থানার ওসির পদটি।বর্তমানে এ পদে রয়েছেন শাহ মোঃ আওলাদ হোসেন।তাকে সড়িয়ে ঐ চেয়ারে বসার লবিং এ শীর্ষে ছিলেন সদ্য যোগদানকারী কাউনিয়া থানার ওসি নুরুল ইসলাম,এ ছাড়াও গৌরনদী মডেল থানার ওসি ফিরোজ কবির এবং কোতয়ালী থানারই ওসি তদন্ত আতাউর রহমানও লবিং করছেন।তবে বর্তমান দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি আওলাদও নিজের চেয়ার টিকিয়ে রাখতে হেডকোয়ার্টারে যেমন লবিং চালাচ্ছেন তেমনি তদ্বির করছেন প্রমোশনের।
নিজের ক্লিনইমেজ ও থানায় কড়া শাসনের ফলে থানায় তার বিপক্ষে গড়ে উঠেছে একটি গ্রুপ।ঐ গ্রুপটিকে লিড দিতেন ওসি নুরুল ইসলাম ও আতাউর।তবে হঠাত এ রদবদলে বর্তমানে বরিশল জেলা পুলিশের সহকারী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারগনের মধ্যে এক ধরনের চাপা আতঙ্ক কাজ করছে।সেই সাথে বরিশাল মেট্রোপলিটন থানার এসি ও ইন্সপেকটরগনও রয়েছেন বদলী আতঙ্কে।এ প্রসঙ্গে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার এক কর্তা জানান,বদলী পুলিশের চাকুরীতে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।তবে মেট্রোপলিটন এলাকায় রদবদল করা হয়েছে ৷ কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়নি।এছাড়া মেট্রোতে কমিশনার কিংবা জেলায় পুলিশ সুপার বদলীর পর এমন কিছু রদবদল হয়েই থাকে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপ পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার এ কর্তা।