নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বরিশালের ঐতিহ্যবাহী পদ্ম পুকুরের সৌন্দয্য এখন ঢেকে গেছে বিশালাকার এক বিলবোর্ডে। ফলে বরিশালের এ ঐতিহ্যবাহী পুকুরটির সৌন্দর্য্য এখন বিলীনের পথে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় প্লানেট ওর্য়াল্ড শিশু পার্কের উল্টো দিকে রাজা বাহাদুর সড়কে ঢুকতে গেলে পদ্মপুকুরের গেট লাগোয়া এক বিরাট বিলবোর্ড লাগিয়েছে একটি বিজ্ঞাপনি সংস্থা। ঐ বিলবোর্ডটি ভাড়ার জন্য একটি মোবাইল নম্বরও দেয়া রয়েছে। ঐ নাম্বারে ফোন করা হলে জানানো হয় সিটি কর্পোরেশনের সাথে যোগাযোগ করতে। তারা সিটি কর্পোরেশন থেকে জায়গা ভাড়া নিয়েছেন। তবে বিজ্ঞাপনী সংস্থার নাম জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন,পরে আবারও ফোন করা হলে রিসিভ করেননি। জানা গেছে বিআইডব্লউটিএ নিজস্ব সম্পতি পদ্মপুকুর।এটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সৌনদর্য্যমন্ডিত স্থান। প্রতিদিন এখানে দেশবিদেশের প্রচুর লোক এ পদ্মপুকুরের সৌন্দর্য্য অবলোকন করতে আসে। এ পুকুরের সৌন্দর্য্য যাতে বাইরে থেকেও অবলোকন করা যায় এ জন্য সাবেক মেয়র প্রয়াত শওকত হোসেন হিরন পদ্মপুকুরের দেওয়াল ভেঙ্গে গ্রিল দ্বারা বাউন্ডরি করে দেন। কিন্তু সৌন্দর্য্যর কথা চিন্তা না করেই সিটি কর্পোরেশনের এক শ্রেনীর অসাধু কর্মকর্তা ঐ বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে ভাড়া দিয়েছে।
যদিও বিলবোর্ড বিষয়ে কিছুই জানেননা বলে দাবী করেছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা ওয়াহেদুজ্জামান। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এটি বরিশালের একটি ঐতিহ্য এখানে বিলবোর্ডের প্রশ্নই উঠেনা। এ সময় সংশ্লিষ্ট বিলবোর্ড প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে জানানো হলে তিনি জানান,এ বিলবোর্ড অবৈধ। এটা উচ্ছেদ কিংবা অপসারনের দ্বায়িত্ব বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের, সেক্ষেত্রে তারা যদি কোন সহায়তা চায় সিটি কর্পোরেশন পাশে থাকবে বলে সিইও বলেন ,সৌন্দর্য্য রক্ষায় সবারই এগিয়ে আসা উচিত।অন্যদিকে বিআইডব্লউটিএ থেকে দোষ চাপানো হয়েছে সিটি কর্পোরেশনের উপরে। দপ্তরটির নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ কবির জানান,আমাদের স্থাপনা অর্থাৎ সীমানা প্রাচীরের পর সিটি কর্পোরেশনের ফুটপাত ব্যবহার করে বিলবোর্ডটি তৈরি করা হয়েছে। এতে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী পদ্মপুকুরটি যেমন ঢেকে গেছে তেমনি আমাদের বেশকিছু দৃষ্টিনন্দন গাছ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সিটি কপোরেশন মিডিয়ায় মিথ্যাচার করেছে। আমরা যতটুকু জেনেছি সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত ফি নিয়ে বিলবোর্ড ভাড়া দিয়েছে। আমরা চিঠি দিয়েও কোন সদুওর পাইনি। এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন আমাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নেই তাই বিলবোর্ড অপসারন করতে পারছি না। অন্যদিকে এ বিষয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক ড.গাজী মোঃ সাইফুজ্জামানের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান ঐ স্থানটি বিআইডব্লিউটিএর রেকর্ডিও জমি। তাদের স্থানে বিলবোর্ড অপসারন তাদেরকেই করতে হবে। সিটি কর্পোরেশন ভাড়া দিয়েছে কিনা সেটা তিনি জানেননা। তবে বিলবোর্ড অপসারনে বিআইডব্লিউটিএ যদি জেলা মেজিষ্ট্রেটের সহায়তা চায় সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন থেকে বিলবোর্ড অপসারনে সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক